জি-অ্যাটরভাস্ট ১০ মিলিগ্রাম ট্যাবলেট: মূল্য, ব্যবহার, পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

পূর্ণ নাম

  • জি-অ্যাটরভাস্ট ১০ মিলিগ্রাম ট্যাবলেট

ধরন

  • ট্যাবলেট

পরিমান

  • ১০ মিলিগ্রাম

দাম

  • ইউনিট মূল্য: ৳ ৮.০৫ (৩ x ১০: ৳ ২৪১.৫০)
  • স্ট্রিপ মূল্য: ৳ ৮০.৫০

মূল্যের বিস্তারিত

  • ইউনিট মূল্য: ৳ ৮.০৫
  • ৩ x ১০: ৳ ২৪১.৫০
  • স্ট্রিপ মূল্য: ৳ ৮০.৫০

কোন কোম্পানির

  • গণস্বাস্থ্য ফার্মা লিমিটেড

কি উপদান আছে

  • অ্যাটরভাস্ট্যাটিন ক্যালসিয়াম

কেন ব্যবহার হয়

  • উচ্চ কোলেস্টেরল কমাতে
  • এলডিএল কোলেস্টেরল কমাতে
  • অ্যাপোলিপোপ্রোটিন বি এবং ট্রাইগ্লাইসারাইড কমাতে

কি কাজে লাগে

  • মিশ্র ডিসলিপিডেমিয়া চিকিৎসায়
  • হাইপারট্রাইগ্লাইসারাইডেমিয়া চিকিৎসায়
  • হৃদযন্ত্রের ইস্কিমিক ঘটনা কমাতে
  • ডায়াবেটিক রোগীদের কোলেস্টেরল ও এলডিএল কোলেস্টেরল কমাতে
  • রেনাল ট্রান্সপ্লান্টেশন পরের হাইপারকোলেস্টেরেমিয়া চিকিৎসায়

কখন ব্যবহার করতে হয়

  • খাবারের পর বা খালি পেটে
  • প্রতিদিন একই সময়ে

মাত্রা ও ব্যবহার বিধি

  • প্রাথমিক হাইপারকোলেস্টেরোলেমিয়া ও মিশ্র ডিসলিপিডেমিয়া: প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য, সাধারণত ১০ মিলিগ্রাম একবার প্রতিদিন; প্রয়োজন হলে, ৪ সপ্তাহ অন্তর অনধিক ৮০ মিলিগ্রাম
  • পরিবারিক হাইপারকোলেস্টেরোলেমিয়া: প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ১০ মিলিগ্রাম প্রতিদিন, ৪ সপ্তাহ অন্তর ৪০ মিলিগ্রাম এবং প্রয়োজন বোধে সর্বোচ্চ ৮০ মিলিগ্রাম
  • শিশু (১০-১৮ বছরের): প্রাথমিক মাত্রা ১০ মিলিগ্রাম একবার প্রতিদিন, ৪ সপ্তাহ অন্তর প্রয়োজনে সর্বোচ্চ ২০ মিলিগ্রাম

কিভাবে ব্যবহার করতে হয় বয়স অনুযায়ী

  • বয়স্ক প্রাপ্তবয়স্ক (৬৫ বছর): ডোজ ৪ সপ্তাহ অন্তর বৃদ্ধি করতে হবে, সাধারণত অন্যান্যদের চেয়ে অধিক হারে এলডিএল কমানো যায়
  • শিশু (১০-১৮ বছর): প্রথমে ১০ মিলিগ্রাম একবার প্রতিদিন, ৪ সপ্তাহ অন্তর বৃদ্ধি করে ২০ মিলিগ্রাম পর্যন্ত

ঔষধের মিথষ্ক্রিয়া

  • সাইক্লোস্পোরিন, ফিব্রিক অ্যাসিড ডেরিভেটিভস, নিয়াসিন, ইরিথ্রোমাইসিন, অ্যাজল এন্টিফাঙ্গাল গ্রহণের সময় মায়োপ্যাথির ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়
  • এন্টাসিড: একসাথে গ্রহণ করলে এটরভাস্ট্যাটিনের রক্তর প্লাজমা ঘনত্ব প্রায় ৩৫% হ্রাস পায় তবে এলডিএল-সি হ্রাস অপরিবর্তিত থাকে
  • কোলেস্টিপোল: একসাথে গ্রহণ করলে এটরভাস্ট্যাটিনের প্লাজমা ঘনত্ব প্রায় ২৫% হ্রাস পায় তবে একসাথে দেওয়ার সময় এলডিএল-সি হ্রাস বৃদ্ধি পায়
  • ডাইগক্সিন: এটরভাস্ট্যাটিন এবং ডাইগক্সিন একসাথে গ্রহণের সময় স্টেডি-স্টেট প্লাজমা ডাইগক্সিন ঘনত্ব প্রায় ২০% বৃদ্ধি পায়
  • ওরাল কন্ট্রাসেপটিভ্স: এটি গ্রহণের সময় ওরাল কন্ট্রাসেপটিভ এর নির্বাচন সম্পর্কে বিবেচনা করতে হবে

প্রতিনির্দেশনা

  • যেকোনও উপাদানের প্রতি সংবেদনশীলতা থাকলে এটরভাস্ট্যাটিন ব্যবহার করা উচিত নয়
  • যক্ষ্মা রোগের প্রকারভেদ হলে অথবা সমতুল্য কোলেস্টেরল, লিপোপ্রোটিন কমানোর জন্য হলুদ আনাবলিক স্টোরিইড হতে পারে
  • যারা গর্ভে হতে যাচ্ছে, সম্ভাবনা আছে তারা এটরভাস্ট্যাটিন ব্যবহার করা উচিত নয়
  • গর্ভধারণের সময় বা দুধের সন্তানকে এটরভাস্ট্যাটিন খাওয়ানো উচিত নয়

নির্দেশনা

  • প্রথমে লিভার কার্যাবলী পরীক্ষা করতে হবে এবং পরে কয়েকটি সময়ের অন্তরান্তরে লিভার কার্যাবলী পরীক্ষা করতে হবে
  • যেকোনও লিভার বিপত্তি হলে, পেট ব্যথা, অস্বাভাবিক গাঢ় প্রস্রাব, চোখ ও ত্বকের হলদেভাব হলে ডাক্তারকে জানাতে হবে

প্রতিক্রিয়া

  • অধিকাংশ ক্ষেত্রে ভালোভাবে সহ্য করা হয়
  • সবচেয়ে বেশি সমস্যাগুলি হ'ল: কোষ্ঠকাঠিন্য, পেট ফুলে যাওয়া, বদহজম, পেট ব্যথা
  • অন্যান্য প্রতিক্রিয়া অন্তর্ভুক্ত: সংক্রমণ, মাথাব্যথা, পিঠে ব্যথা, ফুসকুড়ি, অস‍ৎ শক্তি, সংযোগিত ব্যথা

পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

  • ইনফেকশন, মাথাব্যথা, পিঠের ব্যথা, ফুসকুড়ি, দুর্বলতা, চারপাশে ব্যথা, মাংশপেশির ব্যথা
  • মাঝে মাঝে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াগুলি হতে পারে : কাশি, মাংশপেশির ব্যথা, শ্বাসকষ্ট, নাক ঝরঝরানো
  • অস্বাভাবিক পেশি ব্যথা বা দুর্বলতা, গর্ভবতী বা গর্ভধারণের পরিকল্পনা করছেন তাদের জন্য ব্যবহার না

কখন সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে

  • গর্ভধারণের সময়
  • স্তনদান কালে
  • যারা লিভারের রোগের রোগী আছেন

মাত্রাধিক্যতা

  • প্রতিনিধিত্বমূলক চিকিৎসা নেই
  • প্রয়োজন হলে পরিপূরক ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন
  • লিভারের কার্যাবলী পরীক্ষা করা উচিত
  • রক্তের সি.কে. লেভেল মনিটর করা উচিত

গর্ভাবস্থায় ও স্তন্যদানকালে

  • এটরভাস্ট্যাটিন গর্ভাবস্থায় এবং স্তনদানকালে ব্যবহারের জন্য মানা করা হয়েছে
  • গর্ভাবস্থার সময় ওমানে পরীক্ষিত এবং অবমুক্ত করা হয়নি
  • গর্ভবতী, গর্ভাসন্ন বা একটি সন্দেহ হলে এট্রভাস্ট্যাটিন ব্যবহার করা উচিত নয়
  • মাতৃত্বকালীন চিকিৎসা এট্রভাস্ট্যাটিনের সমতুল, যেটা কিনা কোলেস্টেরল প্রস্তুতিতে সহায়ক।

রাসায়নিক গঠন

  • অ্যাটরভাস্ট্যাটিন ক্যালসিয়াম
  • মলিকূলার ফরমুলা: C33H35FN2O5
  • রাসায়নিক কাঠামো: (উল্লেখিত ছবিতে দেখানো)

কিভাবে সংরক্ষন করতে হবে

  • বাচ্চাদের নাগালের বাইরে রাখুন
  • শুকনো এবং আলো ও তাপ থেকে দূরে রাখুন

উপদেশ

  • যদি মাংশপেশির দুর্বলতা বা পেশি ব্যথার কোন লক্ষন দেখা যায় তবে ডাক্তারকে জানাতে হবে
  • লিভার কার্যাবলী পরীক্ষার আগে এবং মাঝে মাঝে পরীক্ষা করতে হবে
  • গর্ভধারণের সময় এবং স্তনদানে উত্তোলনকারী না
  • খাবারের সাথে বা খালি পেটে গ্রহণ করা যায়
  • এই ওষুধটি গ্রহণকালে, স্বাস্থ্যের নিরীক্ষা বজায় রাখতে হবে
Reading: G-Atorvast 10 mg | gonoshasthaya-pharma-ltd | atorvastatin-calcium| price in bangladesh

Related Brands