নিওসেপ্টিন আর টাইপ: আইএম/আইভি ইনজেকশন ৫০ মিগ্রি/২ মিলি: মূল্য, ব্যবহার, পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

পূর্ণ নাম

  • নিওসেপ্টিন আর টাইপ: আইএম/আইভি ইনজেকশন ৫০ মিগ্রি/২ মিলি

ধরন

  • ইঞ্জেকশন (আইএম/আইভি)

পরিমান

  • ২ মিলি

দাম কত

  • ৳ ১০.০০
  • ১০টি প্যাক: ৳ ১০০.০০

মূল্যের বিস্তারিত

  • এই ঔষধটি ২ মিলি এম্পুলে পাওয়া যায় যা বাংলাদেশে ১০ টাকায় বিক্রি হয়। একটা প্যাকেটের মধ্যে ১০টি এম্পুল থাকে এবং সেটির দাম ১০০ টাকা।

কোন কোম্পানির

  • বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড

কি উপদান আছে

  • রেনিটিডিন হাইড্রোক্লোরাইড

কেন ব্যবহার হয়

  • সক্রিয় ডুওডেনাল আলসার চিকিৎসায়
  • সৌম্য গ্যাস্ট্রিক আলসার চিকিৎসায়
  • অন্যান্য প্রদাহ বিরোধী ওষুধ সহ আলসারের প্রতিরোধ ও চিকিৎসায়
  • অপারেশন পরবর্তী স্ট্রেস আলসার
  • জোলিঞ্জার-এলিসন রোগ
  • গ্যাস্ট্রোইসোফেজিয়াল রিফ্লাক্স ডিজিজ (GERD)
  • সিরিয়াসলি অসুস্থ রোগীদের মধ্যে স্ট্রেস আলসার থেকে গ্যাস্ট্রোইনটেস্টিনাল হ্যামারেজ
  • ব্লিডিং পেপটিক আলসার থেকে পুনরায় হ্যামারেজ প্রতিরোধ
  • অ্যাসিড অ্যাসপিরেশন থেকে ঝুঁকিপূর্ণ রোগীদের জেনারেল অ্যানাস্থেশিয়ার আগে

কি কাজে লাগে

  • গ্যাস্ট্রিক সমস্যা দূর করতে এবং গ্যাস্ট্রিক আলসার ও GERD এর চিকিৎসা করতে।

কখন ব্যবহার করতে হয়

  • গ্যাস্ট্রিক সমস্যা দেখা দিলে বা ডাক্তার নির্দেশিত সময়মতো।

মাত্রা ও ব্যবহার বিধি

  • সকাল ও সন্ধ্যায় ১৫০ মিলিগ্রাম অথবা রাতে একবারে ৩০০ মিলিগ্রাম ৪ থেকে ৮ সপ্তাহের জন্য।
  • রিফ্লাক্স ইসোফাগাইটিস: ১৫০ মিলিগ্রাম দিনে দুইবার অথবা রাতে ৩০০ মিলিগ্রাম ৮ সপ্তাহ পর্যন্ত।
  • জোলিঞ্জার এলিসন সিনড্রোমের জন্য: ১৫০ মিলিগ্রাম দিনে ৩ বার এবং প্রয়োজন হলে ৬ গ্রাম পর্যন্ত দিনভাগে বিভক্ত মাত্রায়।
  • এপিসোডিক ডিসপেপসিয়া: দিনে দুইবার ১৫০ মিলিগ্রাম অথবা রাতে ৩০০ মিলিগ্রাম ৬ সপ্তাহ পর্যন্ত।
  • রক্ষণাবেক্ষণ: পুনরাবৃত্তি প্রতিরোধে রাতে ১৫০ মিলিগ্রাম।
  • বাচ্চারা: প্রতিদিন ৩০০ মিলিগ্রাম পর্যন্ত দুইবার ২-৪ মিলিগ্রাম/কেজি মাত্রা।

কিভাবে ব্যবহার করতে হয় বয়স অনুযায়ী

  • বাচ্চাদের জন্য: প্রতিদিন ২-৪ মিলিগ্রাম/কেজি দুইবার ৩০০ মিলিগ্রাম পর্যন্ত।
  • বয়স্কদের জন্য: ডাক্তার নির্দেশিত মাত্রায়।

ঔষধের মিথষ্ক্রিয়া

  • প্রোপান্থেলিন ব্রোমাইডের সাথে ধীরে শোষণ এবং শীর্ষ সেরাম ঘনত্ব বৃদ্ধি।
  • কুমারিন অ্যান্টিকোয়াগুলান্ট, থিওফাইলিন, ডায়াজেপাম এবং প্রোপ্রানলোলের হেপাটিক মেটাবলিজম ন্যূনতমভাবে বাঁধা দেয়।
  • কেটোকোনাজোল, মিডাজোলাম, গ্লিপিজাইডের শোষণ পরিবর্তন করতে পারে।
  • অ্যন্টাসিডের সাথে বায়োঅভ্যল্যাবিলিটি কমাতে পারে।

প্রতিনির্দেশনা

  • রেনিটিডিনের প্রতি অতি সংবেদনশীল রোগীরা।

নির্দেশনা

  • গ্যাস্ট্রিক সমস্যা দূর করার জন্য নির্দিষ্ট সময় এবং মাত্রায় ঔষধ সেবন করা উচিত।

প্রতিক্রিয়া

  • এটি সাধারণত ভালভাবে সহ্য হয় এবং পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া খুবই কম।

পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

  • অলটারড বাওয়েল হ্যাবিট
  • বমি
  • ত্বকে র‍্যাশ
  • ক্লান্তি
  • রিভার্সিবল কনফিউশানাল স্টেট
  • মাথাব্যথা
  • রক্তের সংখ্যা হ্রাস
  • পেশী অথবা জয়েন্টে ব্যথা।

কখন সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে

  • যখন কোনো রোগীর কিডনি বা লিভারের সমস্যা থাকে তখন কম মাত্রায় গ্রহণ করতে হবে।

মাত্রাধিক্যতা

  • ওভারডোজ হওয়ার ক্ষেত্রে কোনো বড় সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা কম। প্রয়োজন হলে সাপোর্টিভ থেরাপি দেওয়া যেতে পারে। ঔষধটি হিমোডায়ালাইসিস দ্বারা প্লাজমা থেকে সরানো যেতে পারে।

গর্ভাবস্থায় ও স্তন্যদানকালে

  • গর্ভাবস্থায় রেনিটিডিন প্লাসেন্টা পার হতে পারে, তবে গর্ভস্থ শিশুর ক্ষতি বা দুষ্প্রাপ্যতা সম্পর্কে কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
  • ল্যাক্টেশনে: রেনিটিডিন মানব দুধে নির্গত হয়। সুতরাং, সেবনের ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।

রাসায়নিক গঠন

  • রেনিটিডিন হাইড্রোক্লোরাইড

কিভাবে সংরক্ষন করতে হবে

  • শীতল ও শুষ্ক স্থানে সংরক্ষণ করতে হবে।
  • আলোর থেকে সুরক্ষিত স্থানে রাখতে হবে।

উপদেশ

  • গ্যাস্ট্রিক সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে এবং গ্যাস্ট্রিক আলসার ও GERD এর চিকিৎসার জন্য এই ঔষধটি নিয়মিত সেবন করা উচিত।
  • ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া ঔষধের মাত্রা পরিবর্তন করা উচিত নয়।
Reading: Neoceptin R 50 mg/2 ml | beximco-pharmaceuticals-ltd | ranitidine-hydrochloride| price in bangladesh