What Does It Mean If You Have Sock Marks on Your Legs?

সক মার্ক অর্থ কী?

আপনার পায়ে সক মার্ক থাকলে এর মানে কী? সক মার্কগুলো মূলত ইলাস্টিকের চাপের কারণেเกิด হয়। শরীরে অতিরিক্ত তরল যে মাধ্যাকর্ষণের ফলে আপনার পায়ে এসে জমা হয়, তা মার্কগুলোকে আরো স্পষ্ট করে তোলে।

সক মার্ক এবং পেরিফেরাল এডেমা

পায়ে সক মার্ক অত্যন্ত সাধারণ। অধিকাংশ মোজা ইলাস্টিকের তৈরি যা পড়ে যাওয়া প্রতিরোধ করে। ইলাস্টিকের চাপ মার্ক তৈরি করে। যদি আপনার পায়ের নরম টিস্যু তরলে স্ফীত হয়, তাহলে মার্কগুলো আরও স্পষ্ট হতে পারে। এই অবস্থাকে পেরিফেরাল এডেমা বলা হয়।

পেরিফেরাল এডেমা সাধারণত তরল ধারণের কারণে হয় এবং প্রায়শই এটি হালকা ও স্বয়ংক্রিয়ভাবে চলে যায়। তবে, যদি পেরিফেরাল এডেমা গুরুতর হয়, তাহলে এর পেছনে কোন স্বাস্থ্য সমস্যা থাকতে পারে।

গুরুতর পেরিফেরাল এডেমার লক্ষণাবলী

যদি পেরিফেরাল এডেমার সাথে অন্যান্য লক্ষণ দেখা যায়, তাহলে তা একটি গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যা নির্দেশ করতে পারে। উদ্বেগজনক লক্ষণ ও তাদের সম্ভাব্য কারণসমূহ অন্তর্ভুক্ত:

  • কাঁপুনি বা চাপ লাগা: হৃদযন্ত্রের অক্ষমতা
  • চেতনাহীনতা: হৃদযন্ত্রের অক্ষমতা
  • শ্বাসকষ্ট: হৃদযন্ত্রের অক্ষমতা
  • এক পায়ে ফোলাভাব: গভীর শিরা থ্রম্বোসিস (DVT)
  • হঠাৎ পায়ে ব্যথা: DVT
  • ক্লীয়ার পেশী দুর্বলতা: কিডনি রোগ
  • পেটের ফোলাভাব: যকৃত রোগ
  • পেটের ব্যথা: টিউমার
  • গর্ভাবস্থায় হঠাৎ উচ্চ রক্তচাপ: প্রি-একলেম্পসিয়া

পেরিফেরাল এডেমার উপসর্গগুলি কী?

পেরিফেরাল এডেমা দুই ধরনের হতে পারে:

  • পিটিং এডেমা: যেখানে চাপ দিলে একটা গর্ত থাকে
  • নন-পিটিং এডেমা: যেখানে চাপ দিলে দ্রুত গর্তটি চলে যায়

পেরিফেরাল এডেমার কারণ

পেরিফেরাল এডেমা বেশিরভাগ সময় তরল ধারণের কারণে ঘটে। কিছু প্রচলিত কারণগুলো অন্তর্ভুক্ত:

গ্র্যাভিটির প্রভাব

দীর্ঘ সময় দাঁড়ালে বা বসে থাকলে মাধ্যাকর্ষণ রক্তকে পায়ের দিকে টেনে নিয়ে যায়, যা হালকা ফোলাভাবের সৃষ্টি করে।

নুন

অতিরিক্ত নুন শরীরে জল ধারণ করতে বাধ্য করে, যা পেরিফেরাল এডেমার সৃষ্টি করে।

হরমোন পরিবর্তন

অলীক হরমোন পরিবর্তনের কারণে মাসিকের আগের সপ্তাহে পানির ধারণা ও পায়ের ফোলাভাব হতে পারে।

গর্ভাবস্থা

গর্ভাবস্থায়, গর্ভের বৃদ্ধি পায়ের রক্তনালীগুলোতে চাপ সৃষ্টি করে, যা পেরিফেরাল এডেমা সৃষ্টি করে।

এডেমা নির্ণয় ও চিকিৎসা

এডেমা নির্ণয়ের জন্য ডাক্তার আপনার স্বাস্থ্য ইতিহাস ও শারীরিক পরীক্ষা করবেন। কিছু পরীক্ষাও প্রয়োজন হতে পারে, যেমন:

  • রক্ত পরীক্ষাঃ হৃদয়, যকৃত এবং কিডনির কার্যক্ষমতা দেখতে
  • ইউরিনালাইসিসঃ কিডনির কার্যক্ষমতা পরীক্ষা করতে

চিকিৎসার উপায়

মৃদু পেরিফেরাল এডেমা কমানোর জন্য কিছু সাধারণ উপায় অন্তর্ভুক্ত:

  • নুনের গ্রহণ কমান।
  • ওজন কমান।
  • বসে থাকাকালে পা উঁচু করুন।

পরীক্ষার মাধ্যমে কিছু সম্ভাব্য চিকিৎসা

পেরিফেরাল এডেমার কারণের ওপর ভিত্তি করে চিকিৎসা ভিন্ন হতে পারে:

  • গভীর শিরা থ্রম্বোসিস (DVT): রক্ত পাতলা করার ওষুধ।
  • কিডনি রোগ: ডায়ালিসিস বা কিডনি প্রতিস্থাপন।

উপসংহার

সক মার্ক সাধারণত ইলাস্টিকের চাপের কারণে হয়ে থাকে। পেরিফেরাল এডেমা থাকলে এই মার্কগুলো আরও স্পষ্ট হতে পারে। সময়মতো চিকিৎসার মাধ্যমে পেরিফেরাল এডেমার লক্ষণগুলি নিরাময় সম্ভব।