অলিগোমেনোরিয়া: সংক্ষিপ্ত বিবরণ
অলিগোমেনোরিয়া কী?
অলিগোমেনোরিয়া একটি অবস্থান যেখানে মহিলাদের মাসিক চক্র অসময়ের মধ্যে ঘটে। এটি সাধারণত প্রজননক্ষম মহিলাদের মধ্যে দেখা যায়। সাধারণভাবে, মাসিক প্রতি ২১ থেকে ৩৫ দিনে ঘটে। যদি কোনো মহিলা ৩৫ দিনের বেশি সময় ধরে মাসিক না হয়ে থাকে, তবে তাকে অলিগোমেনোরিয়া হিসেবে চিহ্নিত করা হতে পারে। ৯০ দিনের বেশি মাসিক না হওয়ার পর এই বিবেচনা করা হয়।
২০১৩ সালের একটি গবেষণায় কলেজের ১৭% মহিলা জানান যে তারা তাদের হরমোনাল জন্মনিরোধক ব্যবস্থার নির্দেশনা অমান্য করে মাসিক কমাতে ইচ্ছাকৃতভাবে নিজেদের নিয়ন্ত্রণ করেছেন।
অলিগোমেনোরিয়ার লক্ষণ কী?
যদি আপনি ৩৫ দিনের বেশি সময় ধরে মাসিক না হয়ে থাকেন এবং জন্মনিরোধক গ্রহণ করছেন না, তাহলে একটি চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করা উচিত। কখনও কখনও, মাসিক বাদ দিয়ে যাওয়া পরের মাসিকের সময় ভারী হতে পারে যা স্বাভাবিক।
অলিগোমেনোরিয়ার কারণ কী?
- সবচেয়ে সাধারণত, এই অবস্থার কারণ হরমোনাল জন্মনিরোধক।
- যুবতী মহিলারা যারা খেলাধুলা বা ভারী ব্যায়াম করেন, তারা এই অবস্থায় আক্রান্ত হতে পারেন।
- খাদ্য ব্যাধি, যেমন অ্যানোরেক্সিয়া অথবা বুলিমিয়া, এই অবস্থার কারণ হতে পারে।
- এই ধরনের সমস্যা কিশোরীর এবং পারিমেনোপজাল মহিলাদের মাঝে সাধারণ।
- ডায়াবেটিস অথবা থাইরয়েড সমস্যা সহ মহিলাদের মাঝেও অলিগোমেনোরিয়া দেখা দিতে পারে।
অলিগোমেনোরিয়া কীভাবে নির্ণয় করা হয়?
অলিগোমেনোরিয়া সাধারণত আপনার মাসিক ইতিহাসের পর্যালোচনার মাধ্যমে নির্ণয় করা হয়। শারীরিক পরীক্ষা, রক্তের পরীক্ষা এবং আলট্রাসাউন্ড চিত্রায়ন প্রয়োজন হতে পারে। কখনও কখনও, এটি পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম (PCOS) এর উপস্থিতি নির্দেশ করে।
অলিগোমেনোরিয়া কীভাবে চিকিৎসা করা হয়?
অলিগোমেনোরিয়া সাধারণত সেতাবিচার নয়। হরমোনাল জন্মনিরোধক ব্যবহার পরিবর্তন বা প্রোজেস্টিনের মাধ্যমে মাসিক নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে। তবে, কখনও কখনও এটি যে কোনো অন্য সমস্যা নির্দেশ করতে পারে, যা চিকিৎসা প্রয়োজন।
পরিণতি কী?
অলিগোমেনোরিয়া সাধারণত একটি গুরুতর অবস্থা নয়, তবে এটি কখনও কখনও অন্য সমস্যার লক্ষণ হতে পারে। মাসিকের উন্নতি এবং অন্যান্য গবেষণা চলছে, বিশেষত জিনগত ভূমিকা এবং শরীরের ফ্যাটের মাত্রা এবং হরমোনের নিয়ন্ত্রণের মধ্যে সম্পর্ক নিয়ে। যদি আপনি প্রায় ৩৫ দিনের বেশি সময় ধরে মাসিক না হয়ে থাকেন তবে চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করুন।
Reading Understanding Oligomenorrhea